শীতে সেমিমসলিন / সিল্ক শাড়ির যত্ন

শীত মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। চারদিক হিম শীতল বাতাস। শীতে সিল্কের শাড়ি পড়া হয় বেশি। তবে সঠিক যত্ন না নিলে দ্রুত নষ্ট হবে এই শাড়ি। তাই চলুন জেনে নেই সেমিমস্লিন বা সিল্ক শাড়ির কীভাবে যত্ন নিবঃ

১। সিল্ক বা সেমিমসলিন শাড়ির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় ড্রাই ওয়াশ করলে। পানিতে ক্লোরিনের উপস্থিতি থাকায় শাড়ি হলুদ হয়ে যেতে পারে।

২। পানিতে বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখা যাবে না। সাবান-পানিতে ধুলে একবার ডুবিয়েই উঠিয়ে ফেলতে হবে। কখনোই ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা বা জোরে কাচা যাবে না। এতে শাড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। পানি ঝরানোর সময় হালকা করে মুড়িয়ে নিলেই হবে।

৩। শাড়িতে কোনো দাগ লেগে গেলে পানি ব্যবহার না করে ড্রাই ওয়াশ করে ফেলতে পারেন। নয়তো দাগ স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৪। কড়া রোদে শাড়ি বেশিক্ষণ শুকাতে দিবেন না। এতে সেমিমসলিন বা সিল্ক শাড়ির কালার হাল্কা হয়ে যাবে।

৫। শাড়ি পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে ইস্ত্রি করে ফেলুন।

৬। প্লাস্টিকের প্যাকেটে কখনো সিল্ক এর শাড়ি রাখবেন না।

৭। সিল্কের বা সেমিমসলিন শাড়িতে ন্যাপথলিন ব্যবহার করলে গন্ধ সহজে নাও যেতে পারে। তাই চাইলে লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। এতে কাপড়ে অন্য রকম সুগন্ধি আসবে।

৮। মাঝে মাঝে শাড়ির ভাঁজ বদলে দিন। সম্ভব হলে বছরে দুইবার শাড়ি রোদে মেলে দিন। এতে শাড়ির ভাজে কেটে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

৯। শাড়িতে যদি তেল মসলার দাগ লাগে তাহলে সেখানে পাউডার ছিটিয়ে দিন এবং কিছুক্ষণ পর হাল্কা উষ্ণ পানিতে দাগের জায়গাটি ধুয়ে ফেলুন।

১০। শাড়িতে সাবান ব্যবহার করলে পানিতে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে নিয়ে শাড়ি ধুয়ে ফেলুন। এতে কালার ভালো থাকবে। সাবানের ক্ষার কাপড়ের ক্ষতি করতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *